অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : রাশিয়ার সঙ্গে ব্যাপক কৌশলগত অংশীদারিত্ব চুক্তি অনুমোদন করেছে উত্তর কোরিয়া। এই চুক্তিকে দুই দেশই ‘ঐতিহাসিক’ বলে উল্লেখ করেছে।
স্থানীয় সময় সোমবার (১১ নভেম্বর) মস্কোর সঙ্গে চুক্তি অনুমোদনের জন্য একটি ডিক্রিতে সই করেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। এর আগে গত শনিবার রুশ পার্লামেন্টের উভয় কক্ষেই চুক্তিটি অনুমোদনের পর প্রেসিডেন্ট পুতিন নথিতে সই করেন।
গত জুনে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের পিয়ংইয়ং সফরের সময় দুই দেশের নেতাদের মধ্যে এই চুক্তি চূড়ান্ত হয়। উভয় পক্ষ যখন চুক্তি অনুমোদনের নথি বিনিময় করবে, তখন থেকেই চুক্তিটি কার্যকর হবে।
গুরুত্বপূর্ণ এই চুক্তিতে ২৩টি অনুচ্ছেদ রয়েছে। এতে বিদেশি আগ্রাসনের ক্ষেত্রে রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়ার একে অপরকে সহায়তা করার প্রতিশ্রুতি রয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী, দুই দেশ টেকসই আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পরস্পরকে সহযোগিতা করবে।
দলিলের ৪ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে, যদি কোনো পক্ষ কোনো রাষ্ট্র বা কয়েকটি রাষ্ট্রের সশস্ত্র আক্রমণের শিকার হয় এবং যুদ্ধাবস্থায় থাকে, তাহলে অপর পক্ষ তাৎক্ষণিকভাবে জাতিসংঘ সনদের ৫১ অনুচ্ছেদ ও জাতীয় আইন অনুযায়ী যে কোনো উপায়ে সামরিক ও অন্যান্য সহায়তা দেবে।
চলতি মাসের শুরুর দিকে উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী চোয়ে সন-হুইয়ের মস্কো সফরের পরপরই অনুমোদন আসে যে, উত্তর কোরিয়া ইউক্রেন সংঘাতে রাশিয়াকে সমর্থন করবে, যতদিন লাগবে।
ইউক্রেন ও পশ্চিমা দেশগুলো দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করে আসছে, পিয়ংইয়ং কিয়েভের বাহিনীর বিরুদ্ধে ব্যবহারের জন্য মস্কোকে কামানের গোলা ও ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করছে। গত মাসে যুক্তরাষ্ট্র দাবি করেছিল, উত্তর কোরিয়ার কমপক্ষে ৩ হাজার সৈন্য পূর্ব রাশিয়ায় প্রবেশ করেছে। অন্যদিকে দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়েন্দা সংস্থা এনআইএস অভিযোগ করেছে, পিয়ংইয়ং প্রশিক্ষণের জন্য রাশিয়ায় ১,৫০০ সেনা পাঠিয়েছে। অভিযোজন প্রশিক্ষণ শেষ হওয়ার পর এসব সেনাকে সামনের সারিতে মোতায়েন করা হবে।
Leave a Reply